ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৬ জন প্রার্থীকে

প্রকাশকালঃ ১০ জুন ২০২৪ ০৩:৫১ অপরাহ্ণ ৯১ বার পঠিত
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৬ জন প্রার্থীকে

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়। এরপর নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে আগামী ২৮ জুন ইরানের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এবার নির্বাচনে লড়ার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৬ জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে। দেশটির নির্বাচন ও আইন-সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভালের দায়িত্বে থাকা গার্ডিয়ান কাউন্সিল এই অনুমোদন দিয়েছে।


ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার মূল দায়িত্ব পালন করে থাকে। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব হচ্ছে গার্ডিয়ান বা অভিভাবক পরিষদের। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার (৯ জুন) ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। যাদের বেশিরভাগই রক্ষণশীল দলের বলে জানা গেছে।


অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রার্থীরা হলেন- পার্লামেন্টের রক্ষণশীল স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, অতি রক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক আলোচক সাইদ জলিলি, তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদ ফাউন্ডেশনের অতি রক্ষণশীল প্রধান আমির হোসেন গাজিজাদেহ-হাশেমি।

 

রক্ষণশীল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদিকেও নির্বাচনে অংশ নিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। ইরানের পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধিত্বকারী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত। তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


তবে গত নির্বাচনের মতো এবারও প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে। এ ছাড়া বাদ পড়েছেন মধ্যপন্থি সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার আলী লারিজানি ও ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সাবেক কমান্ডার ওয়াহিদ হাঘানিয়ানসহ বেশ কয়েকজন।

 

অন্যান্য নির্বাচনের মতো এবারও ইরানে কোনো নারীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়নি গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এ ছাড়া যারা দেশের শাসন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন চান এমন কেউও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, এ নির্বাচনে পার্লামেন্ট স্পিকারসহ ৮০ জন প্রার্থী ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলে নাম নিবন্ধন করেছিলেন।


যাচাই-বাছাই শেষে ছয়জনের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা হয়। ইরানের সংবিধানের ১৩১ ও ১৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনো প্রেসিডেন্ট মৃত্যুবরণ করলে অথবা দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে। ১২ জুন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে এবং ২৭ জুন পর্যন্ত তা চলবে। এর পরদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।