শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া।
চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া বলেন, “২০১৫ সালের অষ্টম পে-স্কেল কার্যকর হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে কর্মচারীরা বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেলসহ অন্যান্য দাবির জন্য আন্দোলন করে আসছেন। এবার আমরা আশা করি, সরকার বাজার ব্যবস্থা, ছয় সদস্যের পরিবারের ব্যয় ও বেতন বৈষম্য বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবেন।”
সংগঠনটি শিক্ষাজনিত, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল এবং রেশন পদ্ধতি চালুর দাবিও জানিয়েছে।
একই দিনে, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিপিএ) পৃথকভাবে জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ এর কাছে ১৭ দফার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বেতন গ্রেড কমিয়ে ২০ থেকে ১২টি করা, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা।
বিডিপিএর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ এর মধ্যে রাখতে হবে। প্রয়োজনে কমিশন সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশি নির্ধারণ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় বেতন কমিশন গত ২৭ জুলাই গঠিত হয়েছে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ডিসেম্বরে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।