ঢাকা প্রেস
সিরাজুল ইসলাম রতন,স্টাফ রিপোর্টার:-
গাইবান্ধার এক তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী মিজানুর রহমান সবুজের অস্বাভাবিক সম্পদ দেখে স্থানীয়রা হতবাক। মাত্র কয়েক বছরেই তিনি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গাইবান্ধা শহরে সবুজের ৫ তলা বিলাসবহুল বাড়ি, গ্রামেও পাকা বাড়ি এবং এয়ার কন্ডিশন। তার জীবনযাত্রাও একজন কোটিপতির মতো। কিন্তু তার আয়ের উৎস কী? সরকারি চাকরির বেতন দিয়ে এত টাকা জমানো কি সম্ভব? স্থানীয়দের মতে, সবুজ চাকরি নিয়ে দেওয়ার নাম করে লোকদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি চাকরি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস এবং ইয়ার ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেন।
সবুজ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, তার ব্যাংক লোন এবং জমি বিক্রয় করে এই সম্পদ করেছেন। তবে, তার স্ত্রী ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের আয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সবুজের স্ত্রীও সরকারি চাকরি করে এবং তারা দুজনে মিলে এই অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় প্রশাসন এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেনি। তবে, স্কুলের অধ্যক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান সবুজের অস্বাভাবিক সম্পদ এবং তার বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগ স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি উঠেছে।