সীমান্তে লাশ ঝুললে কাঁটাতার অভিমুখে মার্চের ঘোষণা: সারজিস আলম

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৪:৪৯ অপরাহ্ণ   |   ৪৭৭ বার পঠিত
সীমান্তে লাশ ঝুললে কাঁটাতার অভিমুখে মার্চের ঘোষণা: সারজিস আলম

ঢাকা প্রেস,স্টাফ রিপোর্টার (কুড়িগ্রাম):-
 

সীমান্তে আর কোনো লাশ ঝুলে থাকলে কাঁটাতার লক্ষ্য করে মার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রাম স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভ থেকে ‘মার্চ ফর ফেলানী’র যাত্রা শুরুর আগে এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
 

সারজিস আলম বলেন, "আর যদি আমার কোনো ভাই বা বোন সীমান্তে কাঁটাতারের তারে লাশ হয়ে ঝুলে থাকে, তাহলে কাঁটাতার লক্ষ্য করে লং মার্চ করা হবে। সেই মার্চ কাঁটাতার ভেদ করে যত দূর সম্ভব অগ্রসর হবে।"
 

তিনি আরও বলেন, "আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না। সীমান্তে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের ন্যায্য বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করতে হবে।"
 

সারজিস আরও উল্লেখ করেন, "ছাত্র-জনতা যে আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে, তারা কোনোভাবেই নতজানু পররাষ্ট্রনীতি মেনে নেবে না। আগামীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, যদি তারা দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে অন্য কোনো রাষ্ট্রের দালালিতে লিপ্ত হয়, তাদের পরিণতি হবে নির্মম।"
 

তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরে একটি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ক্ষমতা কাঠামোকে নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ফলে ২০২৪ সালে এর মোক্ষম জবাব দেওয়া হয়েছে।


ফেলানী হত্যাসহ সীমান্তে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ, শহীদ ফেলানীর নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নামকরণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে নতুন পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, এবং কুড়িগ্রামের চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নদী সংস্কার—এই ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন সারজিস আলম।


সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রামের কলেজ মোড় থেকে লং মার্চ শুরু হয়। এটি শেষ হবে নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ গ্রামে, যেখানে শহীদ ফেলানীর বাড়ি।
 

লং মার্চে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান, সমন্বয়ক রকিব মাসুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া ফেলানীর বাবা নুর ইসলামও লং মার্চে অংশ নেন।
 

লং মার্চ শেষে নাগেশ্বরীর নাখারগঞ্জ বাজারে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।