সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-
কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময় টমটম চালকের সহায়তায় এক স্কুল পড়ুয়া সাংবাদিক পুত্রকে অপহরণের চেষ্টা করেছে অপহরণকারী, তাকে আটকে রাখার ৫ ঘণ্টা পর কৌশলে অপহরণকারী চোখে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস সড়ক সংলগ্ন এলাকায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।
অপহরনের শিকার হওয়া ওই ছাত্রের নাম আমিরুল ইসলাম ইলহাম (১৩)। ইলহাম চট্টগ্রাম সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে দৈনিক যুগান্তর সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ও সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু’র ছেলে।
অপহরণের শিকার হওয়া ইলহাম এর বাবা সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু জানান,সকাল সাড়ে আটটায় কোচিং সেন্টারে যেতে ঘর থেকে বের হয় ইলহাম। সে বাকলিয়া এক্সেস সড়কের সামনে থেকে টমটমে উঠেন। টমটমটি কিছুদূর যাওয়ার পর চালকের সহায়তায় ভেতরে থাকা মধ্যবয়সী অপহরণকারী ইলহামের চোখ-মুখ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায়। দুপুর দেড়টার সময় অপহরণকারীরা তাকে একটি মুঠোফোনের দোকানে নিয়ে যান। পরে তারা ইলহামকে অপহরণের কথা জানিয়ে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অপহরণকারীদের কথার ফাঁকে ইলহাম কৌশলে দোকান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া করে বাসার সামনে চলে আসেন।
অপহরণ চেষ্টার এই ঘটনার পর থেকে ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন জানিয়ে সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু আরো জানান,প্রশাসনের প্রতি আমার একটাই দাবি যারা এই অপহরণ চেষ্টার সাথে জড়িত তাদের যেন সহসায় চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হয়।
বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.আবদুল কাদের জানান,তিনি অপহরণের চেষ্টার শিকার হওয়া ওই ছাত্রের বাসায় গিয়ে তার সাথে কথা বলেছেন। অপহরণের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফ্রুটেজ সংগ্রহের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ছবি পাঠানো হয়েছে।