পরীমনির মাদক মামলা রুল শুনানিতে উঠছে

প্রকাশকালঃ ০৯ মে ২০২৩ ০৪:৫২ অপরাহ্ণ ১৪১ বার পঠিত
পরীমনির মাদক মামলা রুল শুনানিতে উঠছে

ঢাকার বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির নামে দায়ের করা মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য উঠছে। আজ মঙ্গলবার পরীমনির আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো.আমিনুল ইসলামের বেঞ্চে কার্যতালিকাভুক্ত হয়েছে।

আজ মামলাটির রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য হতে পারে বলে আইনজীবীরা জানান। 

২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


একই বছরের ১৯ আগস্ট আরো এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট তৎকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন।

পরে একই বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের নামে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।  

২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম তিনজনের অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার।


পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। গত বছরের ১ মার্চ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ৮ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে আপিল বিভাগে শুনানি শেষে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি মামলার কার্যক্রম ছয় মাস পরিচালনা না করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।


একই সঙ্গে মামলা বাতিলে হাইকোর্টের জারি করা রুল ওই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

ওই দিন পরীমনির একজন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছিলেন, এ মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের যে রুল পেন্ডিং আছে, সে রুলটা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর মধ্যে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন ট্রায়ালটা প্রসিড না করে এবং ছয় মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আমরা যদি রুল শুনানি করতে ব্যর্থ হই তাহলে মামলার প্রসিডিংস আবার চলবে।

এর মধ্যে সম্প্রতি ওই রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে মামলাটি উপস্থাপন করেন পরীমনির আইনজীবী। সে অনুযায়ী মামলাটি কার্যতালিকাভুক্ত হয়। এখন দিন ধার্য হলে রুল শুনানি শুরু হবে। শুনানি শেষে উচ্চ আদালত মামলাটি চলবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।