১৬৪ ধারায় ডাকাত সদস্যের স্বীকারোক্তি; গাইবান্ধা থেকে এসে ব্রহ্মপুত্রে ডাকাতি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০১:৩৭ অপরাহ্ণ   |   ১৩৬ বার পঠিত
১৬৪ ধারায় ডাকাত সদস্যের স্বীকারোক্তি; গাইবান্ধা থেকে এসে ব্রহ্মপুত্রে ডাকাতি

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলার ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার বাবুল মিয়া দুই দিনের রিমান্ড শেষে দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিলমারী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) ইমতিয়াজ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল খেয়াঘাটের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী এক যাত্রী বাদী হয়ে চিলমারী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা সদরের কামারজানি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে বাবলু মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব ও পুলিশের একটি যৌথ দল। পরে আদালতে সোপর্দ করে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে চিলমারী নৌ-পুলিশ।
 

গ্রেফতার বাবলু মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ধুবনী এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ব্রহ্মপুত্রে নৌ ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ব্রহ্মপুত্র নৌপথসহ ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ নৌপথে ডাকাতির ঘটনায় বাবলু মিয়া সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
 

জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে আইসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, ‘ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বাবলু। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাইবান্ধার খামার কামারজানি এলাকা থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে।’
 

আইসি আরও বলেন, ‘বাবলুর দলে ১৫ জন পেশাদার ডাকাত সদস্য রয়েছেন। তারা সবাই গাইবান্ধার সদর, সুন্দরগঞ্জ এবং সাদুল্যাপুর এলাকার বাসিন্দা। এর মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। শুধু চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথ নয়, ফুলছড়ি-কামারজানি নৌপথেও এরা ডাকাতি করছেন। বাবলুর সহযোগীদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।’